কেশবপুর প্রতিনিধি ।। কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বিল গরালিয়া থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমানের সহযোগিতায় ব্র²নডাঙ্গা গ্রামের আমিন উদ্দিনের জমি থেকে ম্যাশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলনের কাজ চলছে। নূরীতলা বাজার থেকে কমলাপুুর হয়ে মাগুরখালী যাওয়ার একমাত্র ওই রাস্তার পাশের বিল গরালিয়া থেকে বালি উত্তোলনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই রাস্তাসহ ওই এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, গাছপালাসহ ব্যাপক ভূমি ধ্বসের আশংঙ্কা করছেন সচেতন মহল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত প্রায় এক মাস ধরে সড়কের পাশ থেকে বালি তুলে এলাকার বড় ধরনের ক্ষতি করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই স্থান থেকে বালি উত্তোলন করে গত একমাসে প্রায় একশো ট্রাক বালি বিক্রয় করা হয়েছে বলে একটি সুত্র জানায়। এ বিষয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে আসলে তাকে নাশকতা মামলার ঢুকিয়ে দেয়ার হমকিও দেয়া হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ। এবিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, পাঁজিয়ার চেয়ারম্যান ও আমি যৌথভাবে রাস্তার কাজের জন্য বালি উত্তোলন করছি। এখান থেকে উত্তোলনকৃত বালি বিক্রয়ের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সঠিক নয়।
এবিষয়ের পাঁজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, সরকারী রাস্তার কাজের জন্য বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ওই বালি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তারপরেও আমি খবর নিয়ে দেখছি । বালি বিক্রয়ের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কবীর হোসেন জানান, ভূগর্ভ থেকে বালি উত্তোলন করা বেআইনি। এধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।